ব্যবসায়িক কাজের ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১১ লাখ টাকা নিয়ে কক্সবাজার শহরের দোকানে ফিরছিলেন এক ব্যবসায়ী। পথিমধ্যে এসব সোনা ও টাকা ছিনতাই হয়। গতকাল রোববার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে ১৬ দশমিক ৪৭ ভরি ও ১ লাখ ১ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণালংকার উদ্ধার ও গ্রেপ্তারের তথ্য জানান।
কক্সবাজার শহরের বড়বাজারের এ ছালাম মার্কেটের তরুলতা জুয়েলার্সের মালিক মিশু দে ও তাঁর কারিগর সৌরভ ধর গত ২৩ জুন বিকেলে জেলার ঈদগাঁও বাজার থেকে স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণ বিক্রির নগদ টাকাসহ সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে শহরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া বটতলী এলাকায় কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা করে ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১১ লাখ টাকা ছিনতাই করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১১ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়টি র্যাবের নজরে আসার পর জড়িত চক্রকে ধরতে ও মালামাল উদ্ধারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয় বলে জানান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘র্যাব-১৫-এর একটি দল এজাহারের ৩ নম্বর আসামি জাহেদকে গতকাল রাতে চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলী এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।’
গ্রেপ্তার জাহেদ জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের ঘটনায় শাহেদ, রাসেল, রবি, ফরহাদসহ পাঁচজন জড়িত থাকার তথ্য দেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেল, রবি ও ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন জেলার সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের ঘোনার পাড়া এলাকার জাহেদ (২৭), একই এলাকার মো. ফাহাদ (৩০), ঈদগাঁও উপজেলার সওদাগর পাড়া এলাকার মো. রাসেল (২৪) ও রামু উপজেলার রাজারকুল এলাকার রবি ধর (৩৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন অনেক দিন ধরে ভুক্তভোগীদের অনুসরণ করে আসছিলেন তাঁরা। আসামি রবি ধর মূলত ছিনতাইয়ের ঘটনার তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি সংঘটিত হয়। লুট করা অবশিষ্ট স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মো. শাহেদকে গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
পাঠকের মতামত